চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচার না হওয়ায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এ কারণে একের পর এক বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক ও নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে এই অপরাধ প্রবণতা থামবে না।
দেশের নারী সমাজকে সুরক্ষিত করতে হলে অবিলম্বে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।
গতকাল সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে ‘সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ’র ব্যনারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
‘শুধু গ্রেপ্তার নয়, দ্রুত বিচার নিশ্চিত কর’ এই স্লোগান নিয়ে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিচার ও সামাজিকভাবে বয়কট করার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তাতে কেবল একজন মা বা একজন বোন ধর্ষিতা হচ্ছেন তা কিন্তু নয়। ধর্ষিত হচ্ছে একজন মানুষ, ধর্ষিত হচ্ছে এই সমাজ এবং ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের প্রিয় স্বদেশ। সাংস্কৃতিক চর্চার অনুপস্থিতি, রাজনীতির নামে দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষকতা, নারী বিরোধী প্রচারণা এবং মিথ্যার প্রসার ঘটায় নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অবশ্যই বিচার যে হয় সে সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বিচার হয় না না বলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাংবাদিক প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, উদীচী’র সুনীল ধর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিতারা শামীম, সাংবাদিক আহমেদ মুনীর, সৌমেন ধর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে প্রচার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, নারী শ্রমিক নেত্রী বাপ্পী দেব বর্মণ, সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক মহররম হোসাইন, লতিফা আনসারী রুনা, হিউম্যানিটি ফার্স্ট মুভমেন্টের মিলন রায় প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, ছাত্র সংসদের এজিএস নোমান সাঈফ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলার সভাপতি এনি সেন, যুব ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, ছাত্র ফ্রন্ট নেত্রী দীপা মজুমদার, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ, কমল দাশ, আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউসার আলী।
পাঠকের মতামত: